সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
নীলফামারীতে ভিজিডি দুঃস্থ নারীদের সঞ্চয়ের নয় লক্ষ টাকা ফেরৎ দিতে গড়িমসি
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারী ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৩৬৮ জন ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারীদের সঞ্চয়ের প্রায় নয় লক্ষ টাকা ফেরৎ দিতে গড়িমসি শুরু করছে ইউপি সচিব তারেক রহমান । নিজ সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সচিবের পিছনে ধর্না দিয়েও টাকা ফেরত পাচ্ছে না ওই দুঃস্থ নারীরা।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারী দুই বছরে ২৪বার ৩০কেজি করে চাল উত্তোলন করেছিল। চাল উত্তোলনের আগে দুইশত টাকা করে ২৪বার ব্যাংককে নিজস্ব সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখে সচিবের মাধ্যমে। টাকা জমার চেক দেখে ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ তাদের ভিজিডি কার্ডের চাল দেয়।
ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারী মজিদা বেগম (৩৮), মেরিনা খাতুন (৩৯), আয়শা খাতুন (৩৪),আয়নাবী বেগম, ময়ূরী আক্তার, নুরনাহার বেগম অভিযোগ করে জানান, আমাদের কাছে দুইশত টাকা নিত তারপর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি’র চাল দিত। চেয়ারম্যান ও সচিব বলেছে, ব্যাংকে আমাদের টাকা জমা রাখত। এক বছর পর নতুন চেয়ারম্যান আসায় আমাদের আর টাকা জমা নেয় না। এখন দুই বছর পার হয়েছে। আমাদের ভিজিডি’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু আমাদের জমানো সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাচ্ছি না। পুরাতন চেয়ারম্যান বলছে, টাকা ইউনিয়ন পরিষদে আছে। নতুন চেয়ারম্যান বলছে, তিনি কিছু জানেন না। আর সচিব দীর্ঘদিন হতে ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমাদের টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
তৎকালীন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সব হিসাব-নিকাশ সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। এখন পরিষদের কোন বিষয়ে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চেীধুরী জানান, সচিবক নারীদের টাকা ফেরত দিতে চেয়েছে । তিনি টাকা ফেরতের ব্যবস্থা না করলে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নিকট তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে।
ইউনিয়ন পরিষদে একাধীক দিন গিয়ে সচিব তারেক রহমানের দেখা পাওয়া যায়নি। তার সেলফোনে কথা হলে বলেন আমি গাড়িতে আছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি জানান, বিষয়টির সসত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।